জান্নাতের গুলবাগ
জান্নাতের গুলবাগ উদাস দুপুর। বড় একটা আমগাছের নিচে বসে আছে সামাদ আনমনে, ভীষণ একা। চারিদিকে নির্জন। মানুষের কোন সাড়া-শব্দ নেই। ওদের বাড়িটিও যেন মরে গেছে নিঃশব্দে। সামাদের মা রোকেয়া আজ সকালে বাবার বাড়ি গেছেন। সাথে গেছে ছোট দুই ভাই আহাদ আর আজাদ। সামাদের যমজ দু’টি বোন হাসনা-হেনা এখন স্কুলে। ওদের স্কুল ছুটি হয় ৪টায়। ওরা বাড়ি ফেরার আগেই মা নিশ্চয় ফিরে আসবেন। গতকাল সামাদের দাখিল পরীক্ষার ফলাফল বেরিয়েছে। এ প্লাস পেয়েছে সে। প্রথমে সে তো বিশ্বাসই করতে পারেনি। এই অনাকাক্সিক্ষত ফলাফলের সময় হতবাক হয়ে কতক্ষণ দাঁড়িয়েছিলো নিজেই জানে না। বন্ধুদের করতালি আর মারহাবা মারহাবা ধ্বনিতে সামাদ নিজের মাঝে ফিরে আসে। সমস্ত জামেয়াজুড়ে বইছে যেন খুশির বন্যা। তারা যতজন পরীক্ষা দিয়েছে, সবাই কৃতকার্য হয়েছে। ছোট ক্লাসের ছেলেরা মিষ্টি বিতরণ করছে। ঝটপট দুটি মিষ্টি গিলে দ্রুত বাড়ি ফিরে আসে সে। মা তখন জায়নামাজে, দুই হাত তুলে দোয়া করছিলেন। ঠিক তখনই পেছন থেকে তাঁকে জড়িয়ে ধরে সামাদ সুসংবাদটা জানায়। রোকেয়া খানম ছেলের কপালে চুমু খেয়ে সিজদায় লুটিয়ে পড়েন। এই সুসংবাদে তিনি যতটা না খুশি হয়েছেন, ...